বিচিত্র সংবাদ

প্রাকৃতিক নিয়ম অনুযায়ে আমরা রোজঘুমাতে যায় এবং একটি সময় পর ঘুম থেকে
উঠি। এটি আমাদের নিয়ম। ঘুম কমহলে শরীরে নানা সমস্যা দেখা দেয়। যাদের
অনিদ্রা সমস্যা আছে তারা শারীরিক, মানসিক নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন।
সুস্থ স্বাভাবিক জীবনের জন্য ঘুম একান্ত প্রয়োজন। আমরা যখন ঘুমাই তখনও
অবচে আমাদের শরীরের নানা অংশ কাজ করে চলে।

১। ঘুমের মধ্যে চোখের মণি ঘুরতে থাকে। সাধারণভাবে ঘুমের পাঁচটি পর্যায়
রয়েছে। একদম শেষ পর্যায়েআমাদের ঘুম খুব গভীর হয়। সেই পর্যায়েই আমরা
স্বপ্নও দেখি ও চোখের মণি ঘুরতে থাকে।

২। বেশিরভাগ মানুষ সাদা কালো স্বপ্ন দেখে থাকে। মাত্র ১৫% মানুষ রঙ্গিণ
স্বপ্ন দেখে থাকে এমন ধারণা পেয়েছেন dreams.co.uk এক গবেষণায়।

৩। পৃথিবীতে ১০০ জনের মধ্যে ৬ জন মানুষ ঘুমের মধ্যে কথা বলে। মহিলাদের
থেকে পুরুষ ও শিশুদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যায়। আপনি ঘুমের
মধ্যে বিষয়টি বুঝতে না পারলেও আপনার পাশে শোওয়া ব্যক্তিটি ঠিকই বিষয়টি
বুঝতে পারেন। স্ট্রেস, ডিপ্রেশন বা কোনও শরীর খারাপ থেকেই মানুষ ঘুমের
মধ্যে কথা বলে।

৪। আমরা স্বপ্নে এমন মুখগুলো দেখে থাকি যাদেরকে আমরা জীবনে কখনও না কখন
দেখেছি। একদম অপরিচিত চেহারা আমরা সাধারণত স্বপ্নে দেখি না।

৫। আপনি যখন গভীর ঘুমে থাকেন তখন আপনার শরীরে কিছু হরমোন নিঃসৃত হয়ে
থাকে। একে গ্রোথ হরমোন বলা হয়। শিশু বয়সে এটি আমাদের বৃদ্ধিতে সাহায্য
করে। আর প্রাপ্তবয়স্ক অবস্থায় শরীরের নানা অংশকে সারিয়ে তোলে।৬।
সাধারণত আমরা দিনের দুই সময় ক্লান্ত বোধ করে থাকি। দুপুর ২ টা এবং রাত
২টা। এই সময়ে আমাদের সবচেয়ে বেশি ঘুম আসে।

৭। ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে উঠে বসা। ঘুমের এক পর্যায়ে আমাদের শরীর কোমায়
চলে যাওয়ার অবস্থায় আসে, তখন সেটা ঠেকাতেই আপনা থেকেই আমাদের ঘুম ভেঙে
যায়। অর্থাৎ আমাদের মস্তিষ্ক ঘুমের মাঝেও পার্থিব জগতের সঙ্গে আমাদের
যোগাযোগ ধরে রাখে।

৮। প্রায় ৯০ মিলিয়ন আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্কদের ঘুম ব্যাহত প্রাথমিক
কারণ হিসেবে নাক ডাকাকে দায়ী করা হয়েছে।

৯। ঘুমের মধ্যে অনেকেই হঠাৎ করে সোজা হয়ে বসে পড়ে। অনেক সময় মস্তিষ্ক
বুঝতে পারে না কোন সঙ্কেত পাঠাবে, তাই এই অবস্থা হয়। যদিও বিজ্ঞানীরা
এখনও পর্যন্ত এর সঠিক কোন কারণ খুঁজে পাননি।

১০। সারাদিন আমাদের কিডনি রক্ত থেকে শরীরের দূষিত টক্সিন বের করে থাকে।
ঘুমানো অবস্থায় সেই কাজটাই ধীর গতিতে হয় ও কিডনি খানিকটা বিশ্রাম পায়।
১১। ঘুমন্ত অবস্থায় ভালো খারাপ কোন গন্ধ টের পাওয়া যায় না। এই কারণে
বিষাক্ত গন্ধযুক্ত গ্যাস ঘুমের মধ্যে নাকে ঢুকে গেলে মানুষ মারা যায়। ।

১২। ঘুমোনোর সময় গলার পেশি রিল্যাক্স করে ও সরু হয়ে যায়। যারফলে শ্বাস
নেওয়ার ধরন বদলে যায়। আর এই কারণেই অনেকে নাক ডেকে থাকেন।